কলা খাবার হজমে বিশেষ ভূমিকা রাখে। অনেক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি ভালো মানের পাকা কলায় এমন কিছু কার্যকরী উপাদান থাকে যা খাবার হজমে সাহায্য করে। কারো যদি হজমের সমস্যা থাকে বা খাবার হজমে কোনো সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত ১/২টি পাকা কলা খান, কিছুক্ষণ পর দেখবেন এই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। তবে, এটি অবশ্যই পরিষ্কার এবং ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে, যাতে অন্য কোনও সমস্যা না হয়। শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন কলা খাওয়া শুরু করুন।
ঢাকা বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কলার উপকারিতা
ম্যাঙ্গানিজের চাহিদা পূরণ করে ত্বক ভালো রাখে ও তারুণ্য ধরে রাখে
বেশি পাকা কলা – পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
উচ্চ রক্তাচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে
সহজলভ্য একটি সবজি হল কাঁচা কলা। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফেট, প্রোবায়োটিক ইত্যাদি। এটি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। তরকারি কিংবা ভর্তা যেকোনো উপায়েই খাওয়া যায়। কাঁচা কলা ভর্তার রয়েছে অনেক উপকারিতা। যে যে উপকারিতা পাওয়া যায়:
শরীরকে সুস্থ, সবল, সবল ও ফিট রাখতে পাকা কলা অবশ্যই খেতে হবে সবাইকে, বিশেষ করে অতিরিক্ত প্রতিটি ছেলে-মেয়েকে।
কলাপাতা সরল, পত্রভিত পুরু ও পত্রফলক প্রশস্থ হয়ে থাকে। পত্রফলকে দৃঢ়, মোটা ও সুস্পষ্ট মধ্যশিরা থাকে। মধ্যশিরার দুই পার্শ্বে সমান্তরাল শিরাগুলো ছড়ানো থাকে। কলার মৌচা স্পেডিক্স ধরনের এবং নৌকার মত স্পেদ দ্বারা ঢাকা থাকে। মৌচার গোড়ার দিকে ও আগার দিকে পুরুষ ও নিরপেক্ষ ফুল থাকে। ফুল সাধারণত উভয়লিঙ্গ হয়ে থাকে। তবে কখন কখনও একলিঙ্গ ফুলও দেখা যায়।
কলা ত্বক সুন্দর করার খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম। শুধু চেহারা সুন্দর করতে নয়। কলার মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও অনেক রোগের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা। কলাকে এনার্জির পাওয়ার হাউস বলা হয়ে থাকে। এমন ফ্যাট বিহীন ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপাদানটি সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কলায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের পাশাপাশি থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক এক ধরণের অ্যামিনো এসিড। কলা খাওয়ার পর, এই এসিড রক্তে মিশে গিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সেরোটোনিন নামক এক ধরণের উপাদান read more তৈরি করে, যা আমাদের আনন্দদায়ক অনুভূতি সৃষ্টি করার জন্য কাজ করে। তাই মনকে ফুরফুরে করার জন্য, মানসিক চাপ, হতাশা এবং বিষন্নতা দূর কারার জন্য কলা খাওয়া যেতে পাড়ে।
কলা খেলে ওজন বাড়ে নাকি কমে এ নিয়ে রয়েছে অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ। অনেকে মনে করেন কলায় অনেক বেশি শর্করা ও ক্যালরি থাকায় এটি খেলে ওজন বাড়ে৷ কারণ এ সকল খাদ্য উপাদান সাধারণত ওজন বাড়ায়।
এই ফলে পটাশিয়ামের পাশাপাশি রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। আর এই দুই উপাদানই দেহের হাড়কে শক্ত করে।
আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা তখনি তৈরি হয়, যখন আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। কলাতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, তাই এটি সহজেই রক্তে মিশে গিয়ে শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে।